ঢাকা: খেলার সৌন্দর্য তো এখানেই। সাবেক ক্রিকেটাররা বলেছিলেন এবারের এশিয়া কাপের আসর হবে ইতিহাসের সেরা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসর। হচ্ছেও তাই। এখনও পর্যন্ত যত ম্যাচ হয়েছে প্রত্যেকটি ম্যাচই টান টান উত্তেজনায় গিয়েই শেষ হয়েছে।
আরো একটি রুদ্ধশ্বাস লড়াই দেখল ক্রিকেট বিশ্ব। অবিশ্বাস্য জয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তান। এক ম্যাচে শেষ ওভারে ২ ছক্কা হাঁকিয়ে পাকিস্তানকে অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দিলেন পেসার নাসিম শাহ।
১ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয়ে ফাইনালে নাম লিখিয়েছে পাকিস্তান। এতে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে আফগানিস্তান আর ভারতের।
লক্ষ্য ছিল মাত্র ১৩০ রান। তবে শুরুতেই জোড়া উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে পাকিস্তান। দলীয় ১৮ রানের মধ্যে সাজঘরে ফিরে যান বাবর আজম আর ফাখর জামান। এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ান আর ইফতিখার আহমেদ ৩৩ বলে ২৭ রানের ধীরগতির এক জুটি গড়েন।
ইনিংসের অষ্টম ওভারে রিজওয়ানকে (২৬ বলে ২০) এলবিডব্লিউ করে জুটিটি ভাঙেন রশিদ খান। ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারায় পাকিস্তান। সেখান থেকে আফগানদের চমকে দিয়ে শাদাব খানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাকিস্তান।
শাদাব প্রমোশন পেয়ে খেলার গতি বাড়ান। ২ ছক্কা হাঁকিয়ে পাকিস্তানকে অনেকটা ভালো অবস্থানে পৌঁছে দেন তিনি। কিন্তু ইফতিখার খেলছিলেন একদম বেশি সতর্কতার সঙ্গে। ৩৩ বলে ৩০ রান করে ফরিদ আহমেদের শিকার হন ডানহাতি এই ব্যাটার। ভাঙে ৪১ বলে ৪২ রানের জুটি।
পাকিস্তানের তখন ২৭ বলে দরকার ৪৩। আফগান বোলাররা চাঙা হয়ে উঠেন। মারমুখী খেলছিলেন শাদাব খান। ১৭তম ওভারের প্রথম বলে রশিদ খানকে ছক্কাও হাঁকিয়েছিলেন। কিন্তু পরের বলে আবারও মারতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লেগে থার্ডম্যানে ক্যাচ হন শাদাব। এরপর ৮ বলে ১৬ করে আউট হন আসিফ আলী।
শেষ ৬ বলে দরকার ১১ রান, উইকেটে শেষ দুই ব্যাটসম্যান নাসিম শাহ ও মোহাম্মদ হাসনাইন। বাজি ছিল আফগানিস্তানের দিকেই। কিন্তু ইনিংসের শুরুতে দারুণ এক ডেলিভারিতে বাবর আজমকে যিনি ভুলে যাওয়া গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ দিয়েছিলেন, সেই ফজলহক ফারুকী দিলেন পরপর দুই ফুলটস।
দুটিই লং অফ দিয়ে বাউন্ডারির ওপারে আছড়ে ফেললেন নাসিম শাহ! হারতে থাকা ম্যাচ পাকিস্তান রুদ্ধশ্বাস সমাপ্তিতে পাকিস্তান জিতল ১ উইকেটের ব্যবধানে।
শারজাহ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের এই জয়ে পাকিস্তান উঠে গেছে এশিয়া কাপের ফাইনালে। রোববারের ফাইনালে প্রতিপক্ষ শ্রীলংকা। প্রথমে ব্যাটিং পেয়ে আফগানিস্তান করেছিল ৬ উইকেটে ১২৯ রান। রান তাড়ায় ১১৮ রানে পাকিস্তান হারায় ৯ উইকেট।