গতরাতে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে সতীর্থ পেসার নাসিম শাহের দুই ছক্কা সাবেক কিংবদন্তী জাভেদ মিঁয়াদাদকে স্মরণ করিয়ে দিলো অধিনায়ক বাবর আজমকে। ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে ১ উইকেট হাতে নিয়ে ১১ রান দরকার পাকিস্তানের। ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে দুই ছক্কায় পাকিস্তানকে অবিস্মরণীয় জয় এনে দেন দশ নম্বরে নামা নাসিম । এতেই বড়ে মিয়াকে মনে পড়েছে বাবরের।
বাবর জানান, নাসিম যেভাবে ম্যাচ শেষ করলো, এক কথায় অবিশ^াস্য। তার ঐ দু’ছক্কা মিয়াঁদাদের কথা মনে পড়ছে।
১৯৮৬ সালের ১৮ এপ্রিল অস্ট্রাল-এশিয়া কাপের ফাইনালে শারজাহতেই মুখোমুখি হয়েছিলো ভারত ও পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৪৫ রান করে ভারত। জবাবে ২৪১ রানে নবম উইকেট হারায় পাকিস্তান।
সেঞ্চুরি করে উইকেটে ছিলেন মিয়াঁদাদ। তাই জয়ের আশায় ছিলো পাকিস্তান। তবে শেষ বলে ম্যাচ জিততে ৪ রান দরকার পড়ে পাকিস্তানের। স্ট্রাইক পান মিয়াঁদাদ। বোলার ছিলেন ভারতের স্পিনার চেতন শর্মা। ইয়র্কার দেয়ার পরিকল্পনা ছিলো চেতনের। হয়তো সেটি বুঝতে পেরেছিলেন মিয়াঁদাদ। উইকেটে ছেড়ে বলকে ফুলটস বানিয়ে ছক্কা হাঁকান তিনি। আর সেই ছক্কাতেই দারুন এক জয়ের স্বাদ পায় পাকিস্তান। আজও সেই ছক্কা ও জয় অবিস্মরনীয়। তাই তো গতরাতে নাসিমের দুই ছক্কা মিয়াঁদাদকে স্মরণ করিয়ে দিল বাবরকে।
ম্যাচ শেষে বাবর বলেন, ‘ড্রেসিংরুমে খুব চাপের মধ্যে ছিলাম আমরা। আজও ভাল ও বড় কোন জুটি তৈরি করতে পারিনি আমরা। শেষ কয়েকটা ম্যাচে এই সমস্যা হয়েছে। তবে নাসিম ছিল অনবদ্য। যেভাবে ম্যাচ শেষ করল নাসিম, এক কথায় দুর্দান্ত। আমার মাথায় ছিল এর আগেও তাকে এরকম খেলতে দেখেছি। তার ওপর আমার বিশ্বাস ছিল। নাসিমের দুই ছক্কা দেখে শারজায় মিয়াঁদাদের সেই বিখ্যাত ছক্কার কথা মনে পড়ে গেল।’
দুই ছক্কায় দলকে অবিস্মরনীয় জয় এনে দেয়ার পর নাসিম বলেন, ‘বোলার হলেও, নেটে মন দিয়ে ব্যাটিং অনুশীলন করি। অনুশীলনে মাঝে মাঝে এমন ছক্কা মারি। তাই বিশ্বাস ছিল আমি ছক্কা মারতে পারবো। আমি জানতাম, আমাকে ইয়র্কার দেয়ার চেষ্টা করবে, ফিল্ডারও সেভাবে সেট করেছে। ঐ সময় নিজের ওপর বিশ্বাস রাখা দরকার ছিল। সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে সফল হয়েছি। এই ম্যাচ আমার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
৩৬ বছর আগে শারজাহতে ভারতের বিপক্ষে শেষ বলে মিয়াঁদাদের ছক্কা যেমন এখনও অবিস্মরনীয়, ঠিক তেমনি নাসিমের গতরাতের দু’ছক্কা ক্রিকেটপ্রেমিদের মনের মধ্যে গেঁথে গেল।