পাকিস্তান-আফগানিস্তান ম্যাচ নানা দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচের ফলাফলের উপর নির্ভর করছে ভারতের ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে টিকে থাকা। আবার সুপার ফোরের শেষ রাউন্ডের গুরুত্ব। তার জন্য চাই পাকিস্তানের হার। জিততে পারলে আফগানিস্তানও ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে বেশ ভালোভাবেই শামিল হবে। কিন্তু সেই ফাইনালে যাওয়ার টিকে থাকার লড়াইয়ে আফগানিস্তান নিজেদের ভান্ডারে খুব বেশি তহবিল জমা করতে পারেনি। ৬ উইকেট হারিয়ে করেছে মাত্র ১২৯ রান। অন্যদিকে ফাইনালে উঠতে পাকিস্তানের দরকার ১৩০ রান।
আফগানিস্তানের শুরুটা ছিল উড়ন্ত। হযরতউল্লাহ জাজাই ও রহমতউল্লাহ গুরবাজ ৫ ওভারেই ৩৬ রান এনে দেন। হাসান রউফ প্রথম ওভার বল করতে এসে প্রথম দুই বল বাউন্ডারি হজম করার পর সেই ওভারেই তুলে নেন রহমতউল্লাহর উইকেট। ১১ বলে ২ ছক্কায় ১৭ রান করে তিনি বোল্ড হন। পরের ওভারে মোহাম্মদ হাসনাইনও বোল্ড করেন অপর ওপেনার হযরতউল্লাহ জাজাইকে। তার ১৭ বলে ২১ রানের ইনিংসে ছিল চারটি বাউন্ডারি। দ্রুত দুই ওপেনারকে হারানোর ফলে ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে আফগানিস্তান খুব বেশি দূর যেতে পারেনি। ২ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ৪৮ রান।
এরপর তাদের রান ক্রমেই কমতে থাকে। পরবর্তীতে আসা কোনো ব্যাটসম্যানই আর ঝড় তুলতে পারেননি। এ সময় পাকিস্তানের বোলাররাও দারুণভাবে খেলায় ফিরে আসেন। কারো স্ট্রাইক রেটই একশর উপরে ছিল না। সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ইব্রাহীম জাদরান ৩৫ রান করেন ৩৭ বলে। দলীয় ১০৪ রানে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি আউট হওয়ার আগেই একে একে ফিরে যান করিম জানাত (১৯ বলে ১৫ রান), নজিবুল্লাহ জাদরান ১১ বলে ১০ রান), মোহম্মদ নবী (১ বলে ০ রান)। যে কারণে ১৫ ওভার শেষে তাদের রান ছিল ৫ উইকেটে ৯৩। এরপর আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও রশিদ খান চেষ্টা করেছিলেন দলের রান বাড়াতে। কিন্তু খুব বেশি দূর যাওয়া সম্ভব হয়নি। ৩.৩ ওভার খেলে তারা ২৫ রান যোগ করেন। আজমতউল্লাহ ওমরজাই ১০ বলে ১০ রান ও রশিদ খান ১৫ বলে ১ ছক্কা ও ২ চারে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন।
পাকিস্তানের হয়ে হারিস রউফ ২৬ রানে নেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন নাসিম শাহ, মোহাম্মদ হাসনাইন, মোহাম্মদ নেওয়াজ ও সাদাব খান।