ঢাকাবুধবার , ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

মিয়ানমার থেকে দুই লাখ টন চাল আমদানি হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২ ১০:৫৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মিয়ানমার থেকে ২ লাখ টন চাল আমদানি করবে সরকার। প্রতি কেজি ৪৪ টাকা করে এই চাল কেনা হচ্ছে। এটি ছাড়াও জি-টু-জি ভিত্তিতে বিভিন্ন দেশে থেকে ২ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন বিভিন্ন ধরনের সার আমদানিসহ ১৪ ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সিঙ্গাপুরে অবস্থানের কারনে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে এক ভার্চুয়াল সভায় ক্রয় প্রস্তাবগুলোতে অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভা সূত্র জানায়, ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি অর্থমন্ত্রী বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন। তার অবর্তমানে মন্ত্রিপরিষদের সিনিয়র মন্ত্রী কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক সভায় সভাপতিত্ব করেন। নিয়ম অনুযায়ী সভা শেষে অর্থমন্ত্রী এবং তার পরামর্শে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অনুমোদিত ক্রয় প্রস্তাবগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

তবে সভায় অর্থমন্ত্রী না থাকায় সভা শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবের বিষয়ে কোন বিফ্রিং করা হয়নি। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেন, সভা শেষে ব্রিফিং না করার নির্দেশনা থাকায় সভায় অনুমোদিত প্রস্তাবগুলো নিয়ে কোন ব্রিফিং না করা সম্ভব নয়।

তবে সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানিয়েছেন, মিয়ানমার থেকে যে চাল আমদানি করা হচ্ছে প্রতি টন চালের দাম পরবে ৪৪ হাজার ১৭৫ টাকা। সে হিসেবে প্রতি কেজি চালের দাম পরছে ৪৪ টাকা ১৭ পয়সা।

সভায় ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক স্তরের (৩য়,৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির) বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনের ২০টি প্যাকেজে ৯৮টি লটের পুস্তক মুদ্রণ(কাগজসহ) বাঁধাই ও সরবরাহ ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এছাড়াও ২০২৫ শিক্ষাবর্ষেও বিনামূল্যের মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন) ৮ম, ৯ম শ্রেণি, এসএসসি ভোকেশনাল স্তরের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহ গ্রহণের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, ভারতীয় ঋণ (এলওসি-৩) এর আওতায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘আপগ্রেডেশন অব মোংলা পোর্ট’ শীর্ষক প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্সি সার্ভিসেস ক্রয়প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ২য় লটের ৫০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানি ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সৌদি আরবের মাদেন এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৭ম লটের ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।

এছাড়াও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে জিসিটি, তিউনিশিয়া এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৩য় লটের ২৫ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার আমদানির প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সভায় এইচএফও ভিত্তিক চারটি রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বৃদ্ধি ও ট্যারিফ নির্ধারণ সংক্রান্ত ৪টি প্রস্তাবে অনুদোন দিয়েছে কমিটি। এরমধ্যে অ্যাক্রন ইনফ্রাস্ট্রাকচার সার্ভিসেস লিমিটেড-এর জুলদা, চট্রগ্রাম ১০০ মেগাওয়াট এইচএফও-ভিত্তিক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বৃদ্ধি এবং বর্ধিত ট্যারিফ অনুমোদন প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সভায় নর্দান পাওয়ার সলিউশন লিমিটেড-এর কাটাখালী, রাজশাহী ৫০ মেগাওয়াট এইচএফও ভিত্তিক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র, পাওয়ারপ্যাক মুতিয়ারা কেরানিগঞ্জ পাওয়ার প্ল্যান্ট লিমিটেড-এর কেরানীগঞ্জ ১০০ মেগাওয়াট এইচএফও ভিত্তিক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সিনহা পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড-এর আমনুরা, চাপাইনবাবগঞ্জ ৫০ মেগাওয়াট এইচএফও-ভিত্তিক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বৃদ্ধি এবং বর্ধিত মেয়াদের ট্যারিফ অনুমোদন প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড(কাফকো),বাংলাদেশ এর কাছ থেকে ৪র্থ লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্রানুলার ইউরিয়া সার আমদানি, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতার কেমিক্যাল অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যাল মার্কেটিং অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, কাতার থেকে ৩য় লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক প্রিল্ড ইউরিয়া সার আমদানি এবং রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরবের সাবিক অ্যাগ্রি নিউট্রিয়েন্ট কোম্পানি থেকে ৮ম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির চারটি প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

তবে সড়ক বিভাগের দুটি প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। প্রস্তাব দুটি হচ্ছে জিওবি ও এডিবি এর অর্থায়নে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডোর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প’ শীর্ষক প্রকল্পের সভপ্যাকেজ নং-ডব্লিউপি-০১ এর লট নং-ডিএস-১ এর ক্রয় প্রস্তাব এবং জিওবি ও এডিবি এর অর্থায়নে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডোর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প’ শীর্ষক প্রকল্পের প্যাকেজ নং-ডব্লিউপি-০১ এর লট নং ডিএস-২ এর ক্রয় প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় প্রত্যাহার করে নেওয়ায় প্রস্তাব দুটির বিষয়ে সভায় কোন আলোচনা হয়নি।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আমারনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন aamarnews.bd@gmail.com ঠিকানায়।